
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ইরান নতুন করে হামলা চালানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইসরায়েলি জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের এক হামলায় বেয়ারশেভা শহরে চারজন নিহত হয়েছে। আগের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছিল সাতজন, কিন্তু পরে সংশোধন করে বলা হয়, মৃত্যুর সংখ্যা চারজন।
এই হামলাগুলো এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন দুই দেশের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। যুদ্ধবিরতির জন্য বেধে দেওয়া সময়ের ঠিক শেষ দিকে এসে এই হামলা করে ইরান।
হামলার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির মন্তব্য ইরানের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি বিমান হামলা বন্ধ করে, তবে ইরানও হামলা বন্ধ করবে।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে কে জয়ী?
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর এই হামলা শুরু হয়। এরপরই ইসরায়েল সরকার সব যাত্রীবাহী ও জরুরি ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয়।
আকাশে থাকা কিছু বিমান ভূমধ্যসাগরের ওপরে ঘুরতে থাকে, কারণ তারা নামার অনুমতি পায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর হবে। তবে ট্রাম্পের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির বেশ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দয়া করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প
সোমবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরান ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর একটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পের বিবৃতির সঙ্গে এই তথ্যের কিছুটা অসঙ্গতি আছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো ইরান-ইসরাইল সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা থাকলেও বাস্তব চিত্র বলছে, উত্তেজনা এখনো কমেনি।