
সমবায় সমিতি, বণিক সমিতিসহ নানা ধরনের সমিতি দেখা গেলেও এবার দেখা পাওয়া গেল মাংস সমিতির। গরুর মাংসের দাম দেশের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। তাই ঈদের সময় এই পরিবারগুলোর মাংসের চাহিদা মেটাতে ২ বছর আগে শুরু হয় মাংস সমিতি।
স্থানীয়দের কাছে এই সমিতি মাংস সমিতি, গোস্ত সমিতি, এমনকি গরু সমিতি নামেও পরিচিত। পবিত্র ঈদুল ফিতরে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কম দামে মাংস পৌঁছে দিতে বগুড়ার শাহজাহানপুরে রিয়েল সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সঞ্চয় প্রকল্প হিসেবে দুবলাগাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে এই সমিতি।
এলাকার দরিদ্র-পীড়িত মানুষের কথা ভেবে এই সমিতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম রিপন। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এলাকার বিভিন্ন পরিবার তার কাছে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে জমা দেয়। বছরের ৫২ সপ্তাহে হয় পাঁচ হাজার দুইশ টাকা। এবারের ঈদে ৩০ জন সদস্য জমাকৃত টাকা দিয়ে ঈদের একদিন আগে সমিতির পক্ষ থেকে গরু কিনা হয়। সেই গরু জবাই করে প্রতিটি পরিবার পায় ৮ কেজি করে মাংস, সাধারণত যা একবারে কেনার সামর্থ্য থাকে না এসব পরিবারের।
মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমরা এখানে যে সমস্ত গরিব মানুষদের নিয়ে যাই, তাদের একবারে এতো পরিমাণ মাংস একবারে কেনার তৌফিক নাই। সেই ক্ষেত্রেই এই সমিতিটা গড়ানো আর এতে সমস্ত লোক খুশি। পাড়ার লোকরাও দেখে একটা গরিব মানুষও ৮ কেজি করে মাংস নিয়ে যাচ্ছে। এটা সবার চোখের পড়ে, আনন্দ লাগে।’
মাংস সমিতির সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা জানান, সমিতির কারণে তাদের ঈদ আয়োজনে খরচ কমেছে। বাজার দরের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে এখান থেকে মাংস পান বলেও জানান তারা।
মাংস সমিতির এক সদস্য শামীম বলেন, ‘অল্প অল্প করে প্রতি সপ্তাহে ১০০ টাকা করে জমা দিয়ে সারা বছর টাকা গোছাই। এরপর ঈদের সময় ওই টাকাটা একবারে এই গরুগুলো কেনা হয়।’ গরু জবাই করে শেয়ারকৃত সকল সদস্য সমাহারে ভাগবাটোয়ারা হয়।
সমিতির উদ্যোক্তা মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম রিপন জানান, সমায়ের সাথে সাথে মধ্যবিত্ত গরীব সবার কাছেই মাংস সমিতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাংস সমিতি মাধ্যমে এলাকার গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি।