
গত ৮ সপ্তাহে ৫-১১ বছর বয়সী ৫০ লাখ শিশু করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছে, ফলে চলতি মাসের মধ্যে এই বয়সী ১ কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য যে পূরণ হচ্ছে না, তা মানছেন সরকারের কর্মকর্তারা।
শিশুরা টিকা নিতে বেশ আগ্রহী হলেও ব্যবস্থাপনাগত কিছু জটিলতার কথা বলছেন তারা। এখন আশা করা হচ্ছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লক্ষ্য পূরণের।
দেশে মহামারী শুরুর পরের বছর ২০২১ সালের শুরুতেই টিকাদান শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে শুরুর পর বছরের শেষে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকার আওতায় আনা হয়।
তার প্রায় এক বছর পর ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার।
গত ১১ অগাস্ট ঢাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষামূলকভাবে টিকা নেয়। শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের এই টিকা সিটি করপোরেশন এলাকার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পুরোদমে দেওয়া শুরু হয় গত ২৫ অগাস্ট।
এক কোটি স্কুল শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার এই বিশেষ ক্যাম্পেইন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয় ১১ অক্টোবর, তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তা চলার কথা।
ঢাকার গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তার স্কুলের ৫-১১ বছর বয়সী ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৬০ জন কোভিড টিকা নিয়েছে।
“যারা নেয়নি, তাদের অধিকাংশই অসুস্থ ছিল। কেউ ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে ছিল। অভিভাবকদের মধ্যে তেমন অনাগ্রহ দেখিনি। তবে কিছু শিশু এতটাই ভয় পেয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত আর টিকা নিতে পারেনি।”