৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েলে ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

spot_img

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে ‘ফাত্তাহ-১’ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। 

চলমান সংঘাতে এই প্রথমবারের মতো ইরান ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান যখন একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, তখনও তারা এই ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে জানা যায়।

২০২৩ সালে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচন করে ইরান। তখন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এটির নাম দেন ‘ফাত্তাহ’। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রকাশের সময় রাজধানী তেহরানে একটি বড় ব্যানার টাঙানো হয়। সেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল: ‘৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবে।’

আইআরজিসি ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইসরায়েল ধ্বংসকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি হাইপারসনিক অস্ত্র। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র এত দ্রুতগতিতে চলে যে, বর্তমানে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটি আটকাতে বা প্রতিহত করতে পারবে না।

এই ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে গতি ও দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম। তাই লক্ষ্যবস্তু কোথায় থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগেই এটি আঘাত হানতে পারে।

তবে, ইরান ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে হাইপারসনিক বলে দাবি করছে, তবুও অনেক সামরিক বিশ্লেষক এর প্রকৃত হাইপারসনিক সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ইরানের এই প্রযুক্তি নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।

তবে ইরান বলছে, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বড় বার্তা। এটি শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং কৌশলগত শক্তিরও প্রতীক। সূত্র: বিবিসি

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ