৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ঘরোয়া ক্রিকেটকে দুষলেন মুমিনুল

spot_img

টানা পাঁচ ইনিংসে ব্যর্থতার পর অবশেষে দুইশ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান। এখনো শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২৪৩ রানে পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিলেট টেস্টের মতোই বড় হারের শঙ্কায় তারা। চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও টপঅর্ডারে রান পায়নি স্বাগতিকরা। ইনিংসে একমাত্র ফিফটি বলতে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হকের ৫০। ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য এবার ঘরোয়া ক্রিকেটকে দুষলেন মুমিনুল। সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।

প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা। এমন হচ্ছে কেন? মুমিনুল বলেছেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। এটার কোনো অজুহাত নেই। আসলে আমরা দল হিসেবে খুব বাজে ব্যাটিং করছি।’ এমন ব্যর্থতার জন্য অনেক দিন পরপর লাল বলে খেলাকে একটা কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। তবে এটাকে অজুহাত বলছেন না মুমিনুল। কেননা, তিনি ছাড়া অন্যদেরই এ সমস্যা হচ্ছে। এর একটা কারণ লাল বলের চেয়ে সাদা বলে বেশি মনোযোগী। টেস্ট দলের বেশিরভাগ ব্যাটারই প্রথম শ্রেণিতে খুব একটা খেলেন না। নেতিবাচক শোনালেও ব্যর্থতার জন্য এটাকে কারণ দেখছেন তিনি।

সাদা বলের ব্যস্ততার জন্য লাল বলের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো ঠিকমতো খেলার সুযোগ হয় না নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজদের। সর্বশেষ জাতীয় লিগে মোটে সেঞ্চুরি হয়েছিল ১৯টি। এর মধ্যে টেস্ট স্কোয়াডে থাকা মাত্র দুজন করেছিলেন একটি করে সেঞ্চুরি—মুমিনুল ও জাকির হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে দুই ফিফটিও এসেছে তাদের সৌজন্যে। ঘরোয়া ক্রিকেটের মানই লাল বলে পিছিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে! মুমিনুলের কথায় সেরকমটাই প্রকাশ পেয়েছে, ‘আমাদের প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কতটুকু মান? একই পর্যায় আছে কি না! আমি চর্চার ভেতরে থাকি আমার আর একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের ভেতর অনেক তফাত আছে। আমি আজকেসহ (গতকাল) ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলছি। আমি পরিস্থিতি বুঝি, কীভাবে সামাল দিতে হয়। কোনো সময় পারি আবার কোনো সময় পারি না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, সত্য কথা শুনতেও খারাপ লাগবে; আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলা অনেক ভিন্ন।’ অর্থাৎ মুমিনুলই বিশ্বাস করেন দুই জায়গার ক্রিকেটের মানের তফাত।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ