
শাজাহানপুর বার্তা ডেস্ক রিপোর্ট:
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা রায়নগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান এর ছেলে শাফিউল ইসলাম এর স্ত্রী মাছুমা আক্তার কে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন শাফিউলের বাল্য বন্ধু একই গ্রামের পুটু মিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের।
বগুড়া শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সামিউল গত ২বছর পূর্বে সোনাতলা এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির কন্যা মোছাঃ মাসুমা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই চলছিল। এরই ফাঁকে তার বন্ধু আরাফাতের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। ঘটনা শাফিউল ইসলাম জানতে পেরে তার শ্বশুরবাড়ির গার্জিয়ান কে বিষয়টি অবহিত করেন।
এরপরে ঘরোয়া সালিশি মাধ্যমে মাসুমা আক্তার কে শাফিউলের হাতে তুলে দেন।
সিদ্ধান্ত হয় সাফিউল তার কর্মস্থল গাইবান্ধায় তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার কে নিয়ে সেখানে সংসার করবেন ভাড়া বাসায়।কিছুদিন সব ঠিকঠাক থাকবার পর মাসুমা আক্তার সেখানে একাধিক পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বলে সাফিউল জানান।
শাফিউল আবারো তার শ্বশুরবাড়ির গার্জিয়ানকে জানান। এরপরে ঘরোয়া সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা হয়। শাফিউল তার স্ত্রী কে গ্রামের বাড়ি রায়নগর নিয়ে আসবে এবং বগুড়ায় চাকরি ট্রান্সফার নিবে বলে জানান ।এরপরে সংসার ভালোই চলছিল শাফিউল ইসলাম ও মাসুমা আক্তার দম্পতির।
মাছুমা এসএসসি পরীক্ষার জন্য মায়ের বাড়িতে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই সে গত বৃস্পতিবার সেখান থেকে আরাফাত রহমানের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
সাফিউল আরও জানান তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার তার মায়ের বাড়িতে যাবার সময় তার দেওয়া স্বর্ণের গহনা ও নগদ কিছু অর্থ নিয়ে যায়।
স্বর্ণের গহনার পরিমাণ আনুমানিক ১ ভরি। নগদ অর্থের পরিমাণ ১ এক লক্ষ টাকা।।সাফিউল বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এব্যাপারে আরাফাতের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের ছেলে খু্বই ভদ্র ছেলে। মেয়েটির ফাঁদে পড়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাটি চারদিকে ছড়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।