
মোংলা সংবাদদাতা: মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের এক হিন্দু পরিবারের মৎস ঘের দখলের অভিযোগ করেন স্মৃতি মন্ডল (২৭) এক গৃহবধূ। অভিযোগে তিনি বলেন গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে সুন্দরবন ইউনিয়নের দিগরাজ এলাকার বাসিন্দা নাইম হাওলাদার (২৪) এর নেতৃত্বে তার বাহিনী সহ আমার শশুরের রেকর্ডিও সম্পত্তি ৭ বিঘা ও ৮ বিঘার দুইটি মৎস ঘের জোরপূর্বক দখলে নেয়। আমাদের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মৎস্য ঘের দুইটি দখলে নিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি হুমকি দেখিয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিবারের উপর।
গত (১৩ জুন) শুক্রবার সন্ধ্যায় নাঈম হাওলাদার গং এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী বুড়বুড়িয়া গ্রামের কির্তুনিয়া মোড়ে অবস্থিত আমার স্বামীর মুদি ও ঔষধের দোকানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনধিকারে প্রবেশ করে আমার স্বামী দেবদূত কির্তুনিয়া ও আমার দেবর ফিগার কির্তুনিয়াকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে ফিগার কির্তুনিয়ার মাথায় আঘাতের ফলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করতে আসা ব্যক্তি দিবাকর কির্তুনিয়াকেও সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জখম হওয়া ফিগার কির্তুনিয়া ও দিবাকর কির্তুনিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্মৃতি মন্ডল বাদী হয়ে মোংলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন, নাইম হাওলাদার (২৪), মুরাদ শেখ (৩৪), হাসান শেখ (৩২), সবুজ হাওলাদার (২৮), তাবারুক শেখ (২৫), রেজাউল হাওলাদার (৩৫), মারুফ হাওলাদার (৪০), মাহফুজ হাওলাদার (৩৫), যোহর হাওলাদার (৪৮), মুন্নাফ শেখ (৪৫) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন। আসামিরা সবাই সুন্দরবন ইউনিয়নের দিগরাজ গ্রামের বাসিন্দ।
এ বিষয়ে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, উল্লেখিত এজাহার রুজু করা হয়েছে। আসামিদের আটকের জন্য তৎপর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মোংলা থানা পুলিশ।