
বগুড়া শাজাহানপুরে ফিল্মে স্টাইলে পুলিশ উপর হামলা করে করে থানা হেফাজত থাকা মাদক মামলার আসামি ছিনতাই চেষ্টায় সন্ত্রাসী মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান সহ ৪/৫ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় থানা পুলিশ ৫ /৬ জন সদস্য আহত হয়েছে।
শনিবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় থানা চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি সংবাদ বুলেটিনকে নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই অরুপ ও আনিছুর রহমান নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার রাত ৯ টায় আড়িয়া বাজারে এলাকায় অভিযানে ২টি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্র সহ মিঠুন কে গ্রেফতার করা হয়। মিঠুন আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নামে হত্যা,মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলার চলমান।
এ ঘটনায় পর রাত ১০ টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান সহ ৪০ জন আসামি ছিনতাই করতে শাজাহানপুর থানার প্রবেশ করে তান্ডব চালাতে থাকে। টহল ডিউটিরত অবস্থায় খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক থানায় প্রবেশ করলে সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী সিড়িতে বসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ওসি শহিদুল ইসলাম সড়ে দাঁড়াতে বললে নুরুজ্জামান থানার ভিতরে ওসিকে ধাক্কা দিয়ে নুরুজ্জামান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় থানা পুলিশ ৫ /৬ জন সদস্য আহত হয়। তখন নুরুজ্জামান সহ তার লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে নুরুজ্জামান সহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক মাঝিড়াস্থ মাটির কাছে অবস্থান নেয়।এসময় জেলা পুলিশ,RAB ও আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনির সদস্যরা সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান সহ তার সহযোগী ৪/৫ জনকে আটক করেন।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান বিরুদ্ধে হত্যা,অস্ত্র,জমি দখন,সরকারি কাজে বাঁধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।এর আগে সরকারি টেন্ডার বা দরপত্র চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন,সন্ত্রসী কায়দায় থানায় প্রবেশ করে পুলিশকে আহত করে পুলিশ হেফাজত আসামি ছিনতাই চেষ্টায় নুরুজ্জামান সহ ৪/৫ জন আটক আছে। পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।