
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত, পুঁতে রাখা হয় ভ্রুণ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন, উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন ও হিজুলী গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল শেখ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে আসাদুল ও ফরহাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ওই নারী। তবে এর আগেই তাদের আটক করে পুলিশ। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া সাত মাস বয়সি ভ্রুণ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারীর ২২ বছর আগে বিয়ে হয়। পরে তার ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় স্ত্রী-সন্তানকে রেখে নিরুদ্দেশ হন তার স্বামী। ওই নারীর মেয়ে এখন ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ফলে তিনি বাড়িতে একাই বসবাস করেন।
আসামি আসাদুল শেখ ছয় মাস আগে ওই নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন। এরপর একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২১ এপ্রিল পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন ওই নারীকে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত করান। সেই ভ্রুণ চিকিৎসকের বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে পুঁতে রাখেন আসাদুল শেখ।
ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ জমি থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ ও আসাদুলকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে সোমবার রাতে আটক করে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেন।