৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিচারকের পর বগুড়ার সেই প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার

spot_img

বিচারকের পর বগুড়ার সেই প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে দুই অভিভাবককে বিচারকের পা ধরতে বাধ্য করার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে বগুড়া থেকে বদলির পর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে তাৎক্ষণিব প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল থেকেই তিনি কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত গন্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ রোববার মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দুর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এতথ্য জানা গেছে।

তবে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এমন কোনো চিঠি তিনি পাননি এবং বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।

বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে তার সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছিল। শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের অভিযোগ, বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে ভিএম স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্ন করে থাকে। 

গত ২০ মার্চ ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। তবে ওই শিক্ষার্থী নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে তার সহপাঠীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই রাতে বিচারকের মেয়ে ফেসবুকে তার সহপাঠীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। ওই পোস্টে তার চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন পরের দিন ২১ মার্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ওই চার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে ডেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি দেন। 

সেখানে দুই অভিভাবককে পা ধরে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। রাতে জেলা প্রশাসক গিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনা সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হলে গত ২৩ মার্চ ওই বিচারককে বগুড়া থেকে বদলি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ঢাকায় গিয়ে বিচারক এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি লিখিত বিবৃতি দেন। এরপরে তাদের ওই দিনের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই তদন্ত চলমান অবস্থায় ওএসডি হলেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ