
বগুড়া জেলা পুলিশের তৎপরতায় একটি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২ জুন রাত ১২টা ১০ মিনিটে অজ্ঞাত এক অটোরিকশাচালক ছুরিকাহত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবককে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বগুড়া সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করে।
বগুড়া জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে এবং পিবিআই নওগাঁ জেলার সহায়তায় নিহতের আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে। নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম (২২), পিতা মো. ইসমাইল, তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া থানার বাসিন্দা।
ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, পিপিএম-এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোস্তফা মঞ্জুর, পিপিএম-এর নেতৃত্বে শাজাহানপুর থানার একটি বিশেষ টিম তদন্তে নামে।
তদন্তে উঠে আসে,পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইফুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন: মো. কামাল (২৬),পিতা: শহিদুল ইসলাম খোকন,কৈগাড়ি পূর্ব পাড়া, জীবন (২৩), পিতা: ফারুক, গণ্ডগ্রাম উত্তরপাড়া, শহীদ জাকারিয়া শেখ (২৫), পিতা: আনারুল ইসলাম শেখ, মালগ্রাম মধ্যপাড়া; আকরাম শেখ (৩৫), পিতা: রেজাউল শেখ, চক লোকমান কলোনি; মো. জনি (২৮), পিতা: আলতাব আলী, গণ্ডগ্রাম, গ্রেপ্তারকৃত সবাই শাজাহানপুর থানাধীন এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আদালত তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারায় আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।”