
শাজাহানপুর বার্তা ডেস্ক রিপোর্ট: গুজরাট টাইটান্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএল ফাইনাল। বৃষ্টিতে প্রায় মরতে বসা একটা ম্যাচ নবজীবন লাভ করে তখন আরো চিত্তাকর্ষক, আরো উন্মাদ।
শেষার্ধে চেন্নাই ব্যাট করছে,স্টেডিয়ামে তখন যেন স্বর্গ নরকের পাশাপাশি সহাবস্থান, একদিকে দেড় লক্ষ ভোল্টের বৈদ্যুতিক বিজলির ঝলকানি, অন্যদিকে তমসাময় ব্ল্যাকহোলের মহাশূন্যতা। মাঝে গোল সবুজ গালিচায় মর্ত্যের অবস্থান। কিন্তু স্টেডিয়ামের কোন পাশটা স্বর্গ, আর কোন পাশটা নরক তা বোঝা দায়। প্রতি বলে বলে পলে পলে পরিবর্তন হচ্ছে নীল আর হলুদ দর্শকদের ভাবভঙ্গিমা। একবার এরা আনন্দে উদ্বেল তো ওরা ম্রিয়মাণ, একবার এরা আপসেট তো ওরা হরষে লম্ফমান।
ম্যাচ তখন শেষ ওভারে হাবুডুবু খাচ্ছে, টানটান উত্তেজনা। চেন্নাইয়ের জেতার জন্য দরকার ৪ বলে ১১ রান, ব্যাট করছেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজা, বোলিং এন্ডে মোহিত শর্মা। মোহিত শর্মার একটা ইয়র্কার কোনোরকমে সামলালেন জাডেজা, হলো মাত্র এক রান, দরকার ৩ বলে ১০ রান। ক্যামেরা দেখালো, এক গুজরাটি বালককে, স্বকীয় হাবভাবে হর্ষে শিহরিত, তার এই পরম সুখানুভূতি নজর কাড়লো আমাদের। দুখের কথা, এই কৈশোরীয় উন্মত্ততা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জাডেজা শেষ দু বলে ছয় আর চার মেরে চেন্নাইকে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়।
ম্যাচ জিতলো চেন্নাই, কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সও অসাধারণ খেলেছে, সারা টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ফাইনালে শেষের দিকে মহম্মদ শামি, মোহিত শর্মা খুব ভালো বল করেছে, আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে দলকে ম্যাচ জেতানোর।
কিন্তু, কথায় আছে না,- ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা! সংবাদ বুলেটিন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ধোনি বাহিনীকে।